হযরত মা ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 16

হযরত মা ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 16

ত্যাগ ও দানশীলতা

নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) ছিলেন ত্যাগ ও দানের সম্রাজ্ঞী। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি তাকালেই দেখা যায় তিনি ত্যাগের মধ্যে দিয়ে শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। সত্যি মনে হত যেন এর ত্যাগ ও দানশীলতার মধ্যে দিয়েই তিনি তার মনজিল মকসুদে পৌঁছবে। তবে এ কথা বাস্তব সত্য কথা যে আল্লাহ তায়ালার প্রিয়জনরা ভোগের মধ্যে প্রকৃত শাস্তি অনুভব করেনা। বরং ত্যাগের মধ্যেই প্রকৃত শাস্তি খুজে পায়। 

নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) সে ত্যাগের মধ্যেই শান্তি খুজে পেতেন তা তাঁর জীবনের কতিপয় ঘটনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। নিম্নে তার কতিপয় দৃষ্টান্ত দেয়া হল-
নবী কন্যা হযরত ফাতেমার (রাঃ)-এর কলিজার টুকরা পুত্র ইমাম হাসান স্বয়ং বর্ণনা করেছেন যে নবী কন্যা আমাদের মহীয়সী জননী হযরত ফাতেমা (রাঃ) প্রায়ই রাত জেগে আল্লাহর কাছে অনুনয় বিনয় সহকারে প্রার্থনা করতেন। 

নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর গোনাহগার উম্মাতদেরকে ক্ষমা করেদেন। 

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল একটি মুহূর্তেও নিজের কন্য ও আত্মীয় স্বজন ও আওলাদের কথা বলতেন না প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ উক্ত ঘটনার মাধ্যমে একথাই প্রমাণ বহন করে যে তিনি ত্যাগের মধ্যেই প্রকৃত শান্তি পেতেন, অন্য এক বর্ণনা হতে জানা যায় কোন এক সময় নবী দুলালী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) তার পিতা নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে কথোপকথন কালে নিজের কলিজার টুকরা দুই পুত্রের শাহাদাত স্বীকার করে নিয়েও তার বিনিময়ে পিতা নবী মুহাম্মাদের উম্মাতের মুক্তির ব্যবস্থা করে নিয়ে ছিলেন। 

কেবল সে ত্যাগের সম্রাজ্ঞী হিসেবেই ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরনীয় হয়ে আছেন তা বলা ঠিক হবে না। কেননা তিনি দানশীলতার যে অতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করে গেছেন সত্যি তাদেখে মানুষ অবাক হয়ে যেত। নিন্মে উহার কতিপয় ঘটনা তুলে ধরা হল। কোন এক সময় এক অসহায় ভিখারী নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর গৃহের দরজায় এসে করুনকণ্ঠে বলতেছেন হে মা, আমাকে কিছু খাবার দিন আমি ক্ষুধার জ্বালায় আর বাচতেছিনা। 

সত্যি অসহায় ভিখারীর করুন আর্তনাদে মায়া মমতার প্রতি মূর্তি নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) এতই ব্যথিত হলেন যে তার চোখ বয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তেছে। কিন্তু ভিক্ষুককে দেয়ার তম তার গৃহে কিছুই ছিলনা। আর থাকবে কি করে সে নিজেই তো অভাব অনাটনের যাতাকলে পড়ে অসহায় জীবন যাপন করেছেন। তবে তার অভাব অনাটনের কথা সহজে প্রকাশ পেতনা। 

কেননা তিনি শত কষ্ট হলেও কার কাছে বলতেন। এমনকি সাহায্যের জন্য হাতও বাড়াতেন না। যেহেতু তার মধ্যে পিতা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর আদর্শ পূর্ণ জাগ্রত ছিল। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কার কাছেই সওয়াল করা পছন্দ করতেন না। যাই হোক ভিক্ষুকে খালি হাতে ফিরায়ে দিতে নবী দুলালী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) মোটেই সম্মত হলেন না। 

তাই তিনি গৃহের মধ্যে দিবার মত কিছু না দেখে ইমাম হাসান হোসেন যে মেঘের চামড়াটি বিছায়ে রাত্রে শয়ন করতেন তাই ভিক্ষুককে দিয়ে দিলেন। আর দিবার সময় নম্র কণ্ঠে বললেন বাবা, তোমাকে ইহা ছাড়া আর তো কিছুই দিতে পারলাম না। তুমি অন্যত্র একটু চেষ্টা করে দেখ। 

ভিক্ষুক বললেন আমার তো চামড়ার প্রয়োজন নেই আমার খাবার দরকার। ভিক্ষুকের এহেন করুন কথা শুনে মমতার প্রতি মূর্তি হযরত ফাতেমা (রাঃ) নিজের গলা হতে গহনা খুলে তাকে বললেন ইহা নিয়ে বিক্রয় করে কিছু খাবার কিনে নেয়া যায় কিনা দেখ। আমি তোমাকে খেতে কিছুই দিতে পারলাম না সে জন্য। 

আমাকে ক্ষমা করে দাও। কোন এক বর্ণনা হতে একথা ও জানা যায় যে কোন এক সময় নবীজী প্রিয় কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে একটি নূতন জামা। তৈরী করে দিয়েছিলেন। ঐ সময় তার নিকট একটি পুরাতন জামাও ছিল। ঐ মুহূর্তে হঠাৎ করে এক জনৈক ভিখারিনী এসে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর নিকট একটি জামা ভিক্ষা চাইল । তখন নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) নিজের দুইটি জামা হতে একটি ভিখারিনীকে দান করে দেয়ার মনস্থ করে পুরাতন জামাটি নিয়ে আসলেন। 

হঠাৎ করে তার হৃদয় এহেন কথাটি ভেসে উঠল যে কোন সময় কাউকে কিছু দান করলে নিজের পছন্দনীয় প্রিয় জিনিসটি দান করতে হয়। আদর্শের প্রতীক মা ফাতেমার (রাঃ) হৃদয়ে এহেন কথাটি ভেসে উঠা মাত্রই পুরাতন জামাটি রেখে প্রিয় নবী (সাঃ)-এর দেয়া নুতন জামাটি আগত জনৈকা ভিখারিনীকে দিয়ে দিলেন । 

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে তার এহেন অপূর্ব দানের প্রতি দানে রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালা তার জন্য হযরত জিব্রাঈল মারফত একটি বেহেশতী রেশমী জামা পাঠায়ে দিলেন। অন্য আর একটি বর্ণনা থেকে জানা যায়। বাল্য কালে ইমাম হোসায়েন (রাঃ) একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সুস্থ হতে পারলেন না। 

অবশেষে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা পুত্রের রোগ মুক্তির জন্য তিনটি রোযা মানত করলেন। প্রথম দিনেই তিনি রোযা রেখে সন্ধায় ইফতার করতে বসলেন। ইফতার করার জন্য তার গৃহে কেবল মাত্র কিছু রুটর টুকরা ছিল। হঠাৎ একজন ভিক্ষুক এনে পুরে দরজায় দণ্ডায়মান হয়ে বলতে লাগলেন "মা" সারাদিনে কিছুই মুখে দিতে পারিনি, আমাকে কিছু খাবার দিয়ে প্রাণ রক্ষা করুন। 

ঐ মুহূর্তে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর গৃহে রুটি এতই সামান্য ছিল যে তাহাতে কিছু ভাগ করে দিলে তাতে তার নিজের কিংবা ভিক্ষুকের ক্ষুধা নিটবে। যার কারণে তিনি সমস্ত রুটিই ভিক্ষুকে দান করে দিলেন। আর নিজে কেবল মাত্র এক গ্লাস পানি দ্বারাই রাত কাটায়ে পরের দিনের জন্য আবার রোযা রাখার নিয়ত করলেন। 

এই দিনেও সামান্য কিছু খাদ্য নিয়ে সন্ধ্যা বেলা ইফতারের জন্য বসেছেন, হঠাৎ ইফতারের পূর্বে মূহূর্তে এক মুসাফির এসে বললেন “মা” আমাকে কিছু খাবার দিন আমি দুই দিন পর্যন্ত কিছুই খেতে পারেনি। আগত মুসাফিরের হৃদয়গ্রাহী কথা শুনে ফাতেমা (রাঃ) খুবই দুঃখ পেলেন যার কারণেই সাথে সাথেই তার সম্মুখস্ত খাবার তুলে মুসাফিরকে দিয়ে দিলেন আর নিজে এক গ্লাস পানি দ্বারাই ইফতার করলেন। প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনে এমনি ধরণের বহু ঘটনা রয়েছে। 

যে হৃদয় বিদারক ঘটনা শুনলে প্রত্যেক মুসলমান নরনারীরই হৃদয় শিহরে উঠে। তবে এ কথাও চিরন্তন সত্য যে এমনি ধরণের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় জনদের কে ফেলে তাদের ঈমান কে পরিপোক্ত করেন। যার কারণেই দেখা যায় নবী রাসূলগণ প্রত্যেকেই দ্বীন প্রচার করতে যেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। কোন এক সয়য়ের ঘটনা একবার সিরিয়া দেশের ফাতেমা নাম্নী জনৈকা ধনঢ্যবান মহিলা নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মহৎ চরিত্র সততা ত্যাগ, গুন গরিমা, ও দান শীলতার কথা শুনে তার সাথে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করলেন। 

যাই হোক হঠাৎ একদনি মূল্য বান উপটোকন এবং প্রচুর ধন সম্পদ নিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য আগমন করলেন। নবীজির কলজার টুকরা হযরত ফাতেমা (রাঃ) ধনবতী মহিলাকে সাদর সম্ভাষণ জানায়ে তার প্রীতির নিদর্শনসমূহ সাদরে গ্রহণ করে নিলেন, তবে নিজের জন্য কিছুই না রেখে সাথে সাথে অসহায় গরীব দুঃখীদের মাঝে দান করে দিলেন। ধনবতী সিরিয়া অধিবাসী মহিলা ধারণা করতেন নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) যতই গুণবতী ও দানশীলা হউকনা কেন প্রকৃত পক্ষে তিনিতো অভাবগ্রস্থ দরিদ্র। 

কিন্তু তিনি স্বচক্ষে তার উপটোকনের মাল অসহায় গরীব দুঃখীদের মাঝে দান করতে দেখে বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়ে পড়লেন। তবে আশ্চার্য হবার কথাও যেহেতু নিজে অত্যাধিক অভাব অনাটনের মধ্যে বাস করতেন। কিন্তু ত্যাগের মধ্যেই তিনি শান্তির অমীয় সুধা খুজে পেতেন। প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ একটু চিন্তা করে দেখুন নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মধ্যে কতদূর ত্যাগ নিহিত ছিল। 

তাই একথা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে ত্যাগ ও দানের ক্ষেত্রে হযরত ফাতেমা (রাঃ) যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা ইতিহাসের পাতায় চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে। অন্য এক বর্ণনা হতে জানা যায় একদা সালমান ফারসী (রাঃ) কোন এক নত মুসলমানকে নিয়ে তার আহার্যের জন্য বিভিন্ন গৃহে হাত বাড়ালেন। অনেক গৃহে যেয়েও লোকটির আহার্যে জন্য কিছু মিলাতে পারলে না। 

লোকটি কেবল মাত্র মুসলমান হয়েছে। কোথাও থেকে কোন কিছু ব্যবস্থা না করতে পেরে শেষ পর্যন্ত সালমান ফারসী লোকটিকে নিয়ে নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর নিকটে নবী উপস্থিত হয়ে লোকটি জন্য কিছু ভিক্ষা চাইলেন। সালমান ফারসী লোকটিকে নিয়ে যে মুহূর্তে নবী কন্যার কাছে উপস্থিত হলেন ঐ সময় তিনি তিন দিনের অনাহারী ছিলেন। 

তখন তিনি সালমান কে নম্রকণ্ঠে বললেন হে সালমান, আমরা আজ তিন দিন পর্যন্ত না খেয়ে আছি। হাসান হোসেন ক্ষুধার তাড়নায় অস্থি হয়ে পড়েছে। খাবার মত কিছুই গৃহে নেই। তুবও নবী কন্যার গৃহ হতে ভিখারী বিমুখ হয়ে যাবে এটা হতেই পারেনা। আপনি আমার জন্য একটু কষ্ট করুন। শামাউন ইয়াহুদীর নিকট আমার এই চাঁদর খানা বন্ধক রেখে সে যা কিছু দেয় নিয়ে আসুন। 

নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর কথা অনুযায়ী সালমান তড়িৎ গতিতে ইয়াহুদীর বাড়ীতে চলে গেলেন । ইয়াহুদী শামাউনের চাদর না রেখে তাকে কিছু যব দিয়ে দিলেন। সালমান যব নিয়ে ফামেতা (রাঃ) কাছে দিলেন। ফাতেমা ঐ মুহূর্তেই যব পিষিয়া রুটি বানায়ে সব রুটিই লোকটির জন্য সালমানের কাছে দিলেন। 

সালমান নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে বললেন এ থেকে দু'একটি রুটি আপনার অনাহারী পুত্রদের জন্য রাখুন। জবাবে নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) বললেন না তা হতেই পারেনা । যেহেতু এই রুটির ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালা 'নবদীক্ষিত মুসলমানের জন্য করেছেন। ইহা তোমার আমার ছেলেদের জন্য করা হয় নি। বিধায় এক জনের ভাগের বস্তু অন্য জনের জন্য খরচ করা উচিত না। 

এমনি কথা বলেই সব কটিই তিন দিনের অনাহারী পুত্রদের সম্মুখ হতে নিয়ে নবদীক্ষিত মুসাফিরকে দিলেন অন্য আর এক দিনের ঘটনা। নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) তার দুই পুত্রকে নিয়ে এক দিন অনাহারে কাটালেন। পরের দিন কিছু খাবার যোগাড় হলে পুত্রদের কে প্রথম খাওয়ালেন। তারপরে নিজে খেতে বসেছেন এমনি সময় এক মুসাফির গৃহের দরজায় এসে বললেন- "মা" আমি দুই বেলা না খেয়ে আছি, আমাকে কিছু খেতে দিন। 

মুসাফিরের কণ্ঠে এহেন কথা শোনা মাত্রই নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) মুখে লোকমা না দিয়ে তার বরতন খানা ঠেলে রেখে দিলেন। নবী দুপালী মনে মনে ভাবলেন এক বেলা না খেয়ে তাতেই কষ্ট অনুভব হচ্ছে আর ঐ লোকটি দুবেলা না খেয়ে অসহ্য কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বিধায় এ মুহূর্তে আমার না খেয়ে তাকেই খায়ানো উচিত। লোকটিকে ডেকে ফাতেমা খাবারের বরতন খানা দিয়ে দিলেন। 

নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর এানী দানের দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। তবে হযরত ফাতেমা (রাঃ) অসহায় গরীব দুঃখীদের মাঝে হাজার হাজার টাকা দান না করলেও তার আন্তরিকতার কোনই অভাব ছিলনা। আর লাখ লাখ টাকা দান করবেন বা কোথা হতে যেহেতু তার সংসারই অভাব অনাটনে ভরপুর ছিল। 

নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) অসহায় দরিদ্র ছিলেন প্রতি দিনের খাদ্য তার গৃহে মওজুদ থাকতনা। এমনি অভাব অনাটনের মধ্যেও তার কাছে গরীব মিসকীন এসে হাত বাড়ালে তিনি খালি হাতে ফিরাতেন না। শুধু দান নয় অসহায় মানুষের করুন অবস্থা দেখে তার হৃদয় আকুল হয়ে উঠত, যে পর্যন্ত তাদেরকে কিছু সাহায্য না করতে পারত ততক্ষণ পর্যন্ত তার হৃদয়ে শাস্তি ফিরে আসত না। 

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ বর্তমান যুগে আমাদের মধ্যে অনেক ধনাঢ্য বান ব্যক্তি রয়েছে কিন্তু তাদের গৃহে অসহায় গরীব মিসকীন সাহায্যের জন্য হাত বাড়ালে তারা কিরকম আচরণ করেন একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে প্রত্যেক মুসলিম নরনারী যদি তাদের শক্তি সামর্থ অনুযায়ী অসহায় গরীব মিসকীনদেরকে সাহায্য করত তাহলে ধনী গরীব সকলেই সুখী জীবন যাপন করতে পারত। 

কিন্তু বর্তমান সমাজে এমন ও অবস্থা ও দেখা যায় এক শ্রেণীর ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তাদের আধুনিকতা রক্ষা করতে যেয়ে যে টাকা পরচ করে তা এক অংশ ও যদি গরীব অসহায় লোকদের মধ্যে বিতণ করত তাহলে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মত আমাদের দেশে ও অভাবী মানুষ খুজে পাওয়া মুশকীল হত। তাই আসুন আমরা নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মত ত্যাগ ও দানের মধ্যে দিয়ে আল্লাহ রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করে লই ।