হযরত মা ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 12

হযরত মা ফাতেমা (রাঃ)-এর জীবনী বই - Part 12

কষ্ট ওসহিষ্ণুতার মহান সম্রাজ্ঞী হযরত ফাতেমা (রাঃ)

নবী দুলালী কলিজার টুকরা হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) আনহার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতি দৃষিপতে করলে দেখাযায় পার্থিব জীবনে কষ্ট ও সাধনার এক চূড়ান্ত আদর্শ মহিলা ছিলেন। হযরত ফাতিমা (রাঃ) আনহার স্বামীর গৃহে কোন দিনই ভোগ বিলাস ও পার্থিব শান শওকতের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। জন্ম হতেই ১৪ বছর পর্যন্ত পিতা মুহাম্মদ (সঃ)এর কোলে লালিত পালিত হলেন । 

নবীগৃহে কোন দিন পার্থিব আরাম আয়েশে দিন কাটাতে পারেন নি। বরং কষ্ট সাধনা ও সহিষ্ণুতার উত্তম শিক্ষা পেয়েছেন হযরত আলী (রাঃ)-এর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কিছু দিন পরেই হযরত ফাতেমা (রাঃ) স্বামী গৃহে চলে যান ।
পূবেই বলা হয়েছে যে হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন অত্যাধিক গরিব। যার কারণে বিবাহের পরে নতুন সংসার করলেও তার গৃহে কোন আসবাব পত্র ছিলনা। 

নবী দুলালী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) পিতার গৃহ হতে স্বামীর গৃহে আসার সময় উপহার স্বরূপ যে আসবাবপত্র সাথে নিয়ে এসেছিলেন তার মধ্যে একটি জিনিষও হযরত আলী (রাঃ) বাড়াতে পারেন নি ।
প্রিয় পাঠ পাঠিকাগণ নবী দুলালী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) তার জীবনে কত যে কষ্ট করেছেন তার তুলনায় আমাদের কষ্ট কোন বড় ধরনের কষ্টের মধ্যেই পড়ে না। 

মানুষ সাধারণ দেখা যায় স্বামীর গৃহে স্বাধীনভাবে বসবাস করে একটু সুখ শান্তি উপভোগ করে । সেই সুখের স্বামীর গৃহে ও হযরত ফাতিমা (রাঃ) যাতা ঘুরাতে ঘুরাতে হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর হাতে ফোসকা বা ফোড় পড়ে গিয়েছিল । শুনলে দুঃখ লাগে নবী দুলালী কত কষ্টের মাধ্যে দিয়ে স্বামীর সংসার করেছেন এমন ও বর্ণনা পাওয়া যায় যে স্বামীগৃহে গায়ে জড়ানোর মতো মাত্র একটি চাদর ছিল। 

সেই চাদর এত খাট ছিল যে তাদিয়ে মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে যেত, এবং পা ঢাকতে গেলে মাথা বেরিয়ে যেত। জীবিকার অবস্থা এতই করুন ছিল যা শুনলে প্রত্যেক মুসলিম নরনারীরই অন্তর কেপে উঠে । কোন কোন বর্ণনা থেকে জানা যায় যে হযরত ফাতেমার স্বামী গৃহে কখন সারা সপ্তাহে চুলায় আগুন জ্বলত না। এমন দেখা গেছে ক্ষুধা নিবারনের জন্য ও গৃহে কিছু না থাকলে ক্ষুধায় বেশি কাতর হলে পেটে পাথর বেঁধে দিতেন ।

একবার হযরত আলী (রাঃ) জীবিকা অন্বেষণের জন্য ঘর হতে বের হয়ে মদীনার উপকণ্ঠে গেলেন। তথায় যেয়েই দেখতে পেলেন জনৈক বৃদ্ধা সামান্য ইট পাথর জমান করে বসে আছে। নবী জামাতা হযরত আলী (রাঃ) বৃদ্ধাকে দেখে মনে মনে ভাবছে হয়তবা বৃদ্ধা তার বাগানে পানি সিঞ্চন করতে চায়। 

সত্যি, তার ভাবনা ঠিক হয়ে যাওয়ার পরে পরিশ্রমিক ঠিক করে পানি উঠিয়ে সিঞ্চন করতে লাগলেন, কিন্তু পানি উঠাতে উঠাতে তার শরীর একেবারে দুর্বল হয়ে গেল শুধু দুর্বল নয় তার হাতে ফোসকা পড়ে গেল । 

এই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পারিশ্রমিক হিসেবে পেলেন মাত্র এক মুঠো খেজুর। মনের খুশীতে এক মুঠো খেজুর নিয়ে বাড়ী ফিরে পিয়তমা স্ত্রী হযরত ফাতেমার হাতে তুলে দিলেন। নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর দুনিয়া জীবনের নিয়ামতের মধ্যে সর্বোত্তম নিয়ামতই ছিল মোটা কাপড় ও মোটা রুটি। নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) শত কষ্ট ক্লেশের মধ্যে জীবন যাপন করেও কোন দিনই কার কাছে কষ্টের কথা বলতেন না বরং অধিক অভাব অনটনের মধ্যে ও ছবর করতেন।

বেহেশতের খানাপ্রাপ্তি

নিখিল বিশ্বের ত্রানকর্তা সুপারিশির কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোন এক সময় একধারে দুই দিন না খেয়ে থাকার পর তৃতীয় দিনে কিছু খাবারের প্রত্যাশায় আদরের দুলালী মা ফাতেমার স্বামীগৃহে উপস্থিত হলেন। রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালার বুঝার শক্তি কার নেই, এদিকে নবী কন্যা হযরত ফাতেমার গৃহে তিন দিন পর্যন্ত পরিবারের সকলে না খেয়ে আছেন। 

এমনি অভাব অনটনের সংসারে কিছু খাবারের প্রত্যাশায় প্রিয়নবী (সাঃ) আদরের দুলালী মা ফাতেমার (রাঃ) আদরের দুলালী মা ফাতেমার (রাঃ) স্বামী গৃহে উপস্থিত হলেন। নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) প্রিয় নবী (সাঃ)-এর পবিত্র চেহারার দিকে দৃষ্টিপাত করেই বুঝতে পারলেন যে তার পিতা প্রিয় নবী (সাঃ) অনাহারের কষ্টে ভুগতেছেন। 

এদিকে প্রিয়নবী (সাঃ) কলিজার টুকরা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝতে যে তার আদরের মেয়ে ফাতেমাও অনাহারের কষ্টে ভুগতেছেন । পিতা প্রিয় নবী (সাঃ) আদারের কন্যার ক্ষুধা কষ্টের অবস্থা বুঝে প্রকাশ করলেন না। বরং মেয়েকে ধৈর্য সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিয়ে ফাতেমার (রাঃ) গৃহ হতে বিদায় নিলেন। 

এদিকে নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) পিতা প্রিয় নবী (সাঃ) তার স্বামী গৃহ হতে না খেয়ে যায়ায় মনে খুবই কষ্ট পেলেন আর কষ্ট পাবার কাথাও মেয়ের গৃহ হতে অনাহারী পিতা না খেয়ে যাবে এটা সহ্য করার মতন। 

তবে মানুসীক খারাপ করলে এ একটি মুহুর্তের জন্য ধৈয্যেচ্যুত হতে মনা বরং রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালার উপর পূর্ণ আস্তা রেখে দুহাত তুলে প্রার্থনা করলেন, কান্না ভেজা কণ্টে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানালেন হে আমার খোদা । 

আমাকে তুমি যে ভাবে রাখ তাতেই আমি খুশী। কিন্তু আমার দুঃখ হল আমার পিতা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমার স্বামী গৃহ হতে না খেয়ে গেলেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে হৃদয় গ্রাহী ভাষায় প্রার্থনা করতেছেন এমনি সময়ে হঠাৎ দেখতে পেলেন এক অপরিচিত লোক এসে রুটি এবং পাকান গোশত রেখে চলে গেলেন। নবী কন্যা প্রার্থনা শেষে এহেন খাদ্র সামগ্রী দেখে খুবই খুশী হলেন, শুধু খুশী নয় মুহুর্তেই পুত্র হাসানকে নানা প্রিয় নবী (সাঃ)-কে ডেকে আসতে পাঠালেন। 

কিছু সময়ের মধ্যে প্রিয়নবী(সাঃ) ফাতেমার গৃহে উপস্থিত হলেন । তিনি উপস্থিত হওয়া মাত্রই তার সামনে নবী কন্যা ফাতেমা অপরিচিত লোকের দেওয়া খাদ্য তার সামনে উপস্থিত করলেন । প্রিয় নবী (সাঃ) হঠাৎ এহেন উত্তম খাদ্য দেখেতে পেয়ে আদরের দুলাল হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। 

নবী কন্যা হযরত ফাতেমা কোন কিছু চিন্তা না করেই জবাবে বললেন যেখান থেকে হযরত ঈসা (আঃ) এ মাতা বিবি মরিয়মের খাবার আসত সেই বেহেশত হতেই বরকতময় খাদ্য এসেছে।

নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) মুখের কথা শুনে প্রিয়নবী (সাঃ) খুবই খুশী হলেন যা নিখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভবক না। প্রিয় নবী (সাঃ)-কে নিয়ে হযরত ফাতেমা (রাঃ) পরিবারের সকলকে নিয়ে তৃপ্তি সহ কারে খাদ্য খেলেন আশ্চর্যের বিষয় হল তারা পেট ভরে তৃপ্তি সহকারে খেয়েও দেখলেন গোশত রুটি উদ্ধত্ত রয়েছে।

উদ্ধৃত্ত গোশত ও রুটি নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) নিজের পরিজনের জন্য না রেখে প্রতিবেশী লোকদেরকে দিয়ে দিলেন। নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) পরিবারের সকল নিয়ে তৃপ্তি সহকারী যেভাবে আহার করলেন তেমনি তার প্রতিবেশীর লোকেরা ও তৃপ্তি সহকারে আহার করলেন। 

কেবল তারা আহামের মাধ্যমে তৃপ্তি নিলেন তা নয় বরং তারা একে অপরের সঙ্গে বলতে লাগলেন এ  ধরনের খাদ্য তারা জীবনে আর কোন দিন আহার করেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এহেন বরকতময় খাদ্য নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে বেহেশত হতে পাঠান হয়েছে।

ফেরেশ্তা দ্বারা খেদমত লাভ

প্রখ্যাত মহিলা সাহাবী উম্মে আয়মন (রাঃ) বর্ণনা করেন যে কোন একসময় আমি বেলা দ্বিপ্রহরের কোন বিশেষ প্রয়োজনে নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর গৃহে গমন করলাম। আমি গৃহে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম তার গৃহের দরজা বন্ধ হলে ও গৃহাভ্যন্তর হতে যাতা ঘূর্ণনের শব্দ আসতে ছিল। এহেন শব্দ পাওয়ার পর আমি গৃহের ছিদ্র পথ হতে তাকায়ে দেখতে পেলাম নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) অঘোরে নিদ্রা যেতেছেন। 

তবে আশ্চর্যের বিষয় হল তিনি নিদ্রায় গেলেও তার পার্শ্বে যাতা আপনা হতে ঘুরতেছে। নবী কন্যা হযরত ফাতেমার আদরের দুলাল অন্যের সাহায্যে ছাড়াই দুলতেছে এবং নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর প্বার্শে জনৈকা রমনী তাসবীহ পাঠে রত আছেন। প্রখ্যাত সাহাবী উম্মে আয়মন (রাঃ) বলেন এহেন বিসম্র কাহিনীটি আমি প্রিয় নবী (সাঃ)-এর কাছে প্রান খুলে বললাম তিনি বললেন হে উম্মে আয়মন। 

দ্বিপহরের তীব্র দহনে হয়তো বা অবসন্ন ফাতেমা যাতা ঘুরাতে ঘুরাতে নিদ্রা মগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে নিদ্রা গেলেও তার আটা তৈরীর খুবই প্রয়োজন ছিল। এদিকে নিজের তসবীহ পাঠও বাকা ছিল এবং গরমে শিশু হুসাইনের নিদ্রা টুটিবার ও আশঙ্কা ছিল। যার কারণেই রহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় দাসী ফাতেমার ঘুরে ব্যাঘাত না ঘটায়ে তিনজন ফিরিশতা পাঠায়ে তাদের মাধ্যমে নবী দুলালী হযরত ফাতেমার (রাঃ) সংসারের সকল কাজ সমাধান করে রেখেছেন। 

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ একটু চিন্তা করে দেখুন হযরত ফাতেমা (রাঃ) কত উচ্চ স্তরের মহিয়সী নারী ছিলেন, তবে এখন বাস্তবে সত্য যে তিনি তার জীবনের সকল বিপদ আপদে আল্লাহর উপর ভরসা করতেন বলেই তার উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত নাজিল হয়েছিল। তাই প্রত্যেক মুসলিম নারীর উচিৎ শত বিপদের মধ্যে দিনি কাটালেও কোন সময়ই ধৈয্যচ্যুত হতে লই ।

হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর স্বামী গৃহের পরিবেশ 

নবী জামাতা শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ)-এর আর্থিক অবস্থা যে করুন ছিল তা পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। তার স্থাবর আস্থাবর সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না। হযরত আলী (রাঃ) নিজেই তার আর্থিক অবস্থা বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন নবী দুলালী হযরত ফাতিমার (রাঃ) সাথে আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার অবস্থা এমনি ছিল যে কেবলমাত্র একখানা ছেড়া চামড়া ছিল সেই চামড়ার উপর উটকে খাওয়াতাম এবং রাতে ঐ চামড়া বিছিয়ে শয়ন করতাম। 

আমার কোন চাকর ছিল না আমি নিজ হাতেই সকল কাজ করতাম। অন্য এক বর্ণনা হতেই জানা যায় কোন এক সময় প্রিয় নবী (সঃ)-এর নবী দুলালী হযরত ফাতেমার (রাঃ) গৃহে যেয়ে দেখেন ফাতেমা উটের চামড়া পড়ে আছেন। যেই চামড়ার মধ্যে ছিল ১৩টি তালি । ঐ সময় নবী কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) আটা পিষছিলেন এবং বিশ্ব প্রভু আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বানী পড়েছিলেন। 

আদারের দুলালীর এহেন কষ্ট দেখে প্রিয় নবী (সঃ) মনে কোন কষ্ট নিলেন না। বরং মেয়েকে লক্ষ্য করে বললেন হে ফাতেমা, ধৈর্য্যের মাধমে পার্থিব জগতের সকল কষ্ট শেষ কর এবং আখিরাতের স্থায়ী শান্তি ও খুশীর প্রহর গুনতে থাক । রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন
অন্য এক বর্ণনা হতে জানা যায় কোন এক সময় হযরত আলী (রাঃ) অত্যন্ত ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘরে এসেই খাবার চাইলেন। 

খাবার চাওয়ার সাথে সাথে হযরত ফাতেমা (রাঃ) আদাবের সাথে নম্র কণ্ঠে বললেন, হে প্ৰাণ প্রিয় স্বামী আজ তিন দিন পর্যন্ত অভূক্ত আছি। আপনার ঘরে খাবার মতো একটি যবের দানাও নেই। হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মুখের কথা শুনে হযরত আলী বললেন হে ফাতেমা তুমি আমাকে একথা কেন জানাও নি? স্বামীর কথার জবাবে হযরত ফাতেমার (রাঃ) বললেন বিবাহের সময আমার আব্বা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নসীহত স্বরূপ বলে ছিলেন আমি কোন সময়ই যেন সওয়ার করে আপনাকে লজ্জিত না করি ।

অন্য এক বর্ণনায় প্রখ্যাত বিপ্লবী সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন কোন এক সময় প্রিয় নবী (সঃ) আমাকে হযরত আলী (রাঃ)-কে ডাকতে পাঠালেন। আমি তাকে ডাকার জন তার গৃহে পৌঁছলাম তখন আমি দেখতে পেলাম নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) হযরত হোসাইন (রাঃ) কোলে নিয়ে যাতা পিষছেন অন্য এক বর্ণনায় প্রখ্যাত মোহদ্দিস জামালুদ্দীন বর্ণনা করেছেন কোন এক সময় নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) মসজিদে নববীতে তাশরীফ নিলেন এবং রুটর ছোট ছোট টুকরা প্রিয় নবীর (সঃ)-এর পবিত্র হাতে দিলেন। 

প্রিয় নবী (সঃ) তখন ফাতেমা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন এই রুটির ছোট টুকরাটি কোথায় পেলে? তখন জবাবে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) নম্র কণ্ঠে বললেন আব্বাজান, অল্প কিছু যব পিষে রুটি বানিয়ে ছিলাম । বাচ্চাদের মুখে যখন তুলেদিলাম তখন আপনার কথা মনে পড়ায় আপনার জন্য সামান্য কিছু রেখে গিয়েছি। 

নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তৃতীয় বেলা অনাহারে থাকার পর ভাগ্যে এই রুটিটুকু মিলেছে। মেয়ে ফাতেমার দেয়া রুটি খেলেন এবং বললেন চার বেলা অনাহারে থাকার পর আজ তোমার দেয়া রুটির টুকরাটি মুখে দিলাম।